মানালি, ১৩ বছর বয়সী মেয়ে
মানালির জীবন সম্পর্কে
মানালির বাবা রিক্সা চালান, আর তার মা কাজ করেন একটা ট্যানারিতে। তার বাবার দিনের উপার্জন হল ৫০০ BDT (US $৪.৬০), আর তার থেকে রিক্সার গ্যারেজের মালিককে ১০০ BDT (US $০.৯) দিতে হয়। একসময়ে তার বাবার নিজেরই একটা রিক্সা ছিল, কিন্তু সেটা চুরি হয়ে যায়, আর তারপরে তিনি আরেকটা রিক্সা কিনতে পারেননি। মানালির বাবার আরেকটা কাজ হল একটা ভ্যানে করে মৃতদেহ এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় নিয়ে যাওয়া।
২০২৩ সালের ৯ই নভেম্বর তারিখে মানালির সঙ্গে একজন গবেষক ছিলেন, তিনি মানালির যাতায়াত এবং সারা দিনের অভিজ্ঞতা রেকর্ড করেছিলেন। রমজানের সময়ে এটি ছিল তার সাধারণ একটি দিন, তাকে তখন দিনে ১২ ঘণ্টা কাজ করতে হত। সে সকাল ৯টার সময় কাজ শুরু করত এবং আমাদের গবেষক চলে যাওয়ার পরেও সে কাজ করতে থাকত। যখন রমজান থাকে না তখন মানালি সন্ধ্যা ৬টার সময় কাজ শেষ করে।
প্রায় প্রতিদিনই মানালি তার খালার বাড়িতে যায়, আর এই বিশেষ দিনটিতে দুপুরের খাওয়ার সময়েও সে সেখানে গিয়ে তার চাচাতো ভাইয়ের সঙ্গে খেলা করে।
মৃতদেহ নিয়ে যাওয়া হচ্ছে
“যখন আমি ভারী যন্ত্র দিয়ে চামড়ার উপরে অনবরত হাতুড়ির মতো মারতে থাকি, তখন আমার ঘাড়ে আর পিঠে ব্যথা করে, কিন্তু আমি যদি একটুও বিশ্রাম নিই তাহলে আমার সুপারভাইজার আমাকে বকেন”
মানালির পোষা টিয়াপাখি
মানালির বাবা-মা তাকে বাইরে বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে দেন না। তাকে শুধু চাচাতো ভাইয়ের সঙ্গে দেখা করার অনুমতি দেওয়া হয়।
পাড়ার রাস্তায় মানালি নিজেকে নিরাপদ মনে করে না। ছেলেরা কখনও কখনও তাকে হয়রান করে, যা তার অস্বস্তির কারণ হয়। সে বাড়িতেও নিজেকে নিরাপদ মনে করে না। তাদের ভবনের কোনখানে একা যেতে তার ভয় করে, সে যেখানেই যায়, এমনকি গোসলখানায় গেলেও তার মা সঙ্গে থাকেন। মানালির বাবা যখন কাজ থেকে ফেরেন তখন তার মেজাজ চড়ে থাকে, প্রায়ই তিনি মানালিকে আর তার মাকে মারধর করেন। তার বাবা যখন মদ খেয়ে মাতাল হয়ে যান তখন অবস্থা আরও খারাপ হয়ে যায়। মানালি যদি কখনও কোথাও যেতে চায়, তাহলে তার বাবা তাকে মারধর করেন।
সে CLARISSA-এর গবেষককে একটি ছোট্ট টিয়াপাখি দেখায় যেটি তার নিঃসঙ্গ সময়ের সঙ্গী।
মানালির দৈনন্দিন জীবনের কয়েকটি বিষয় যা এই প্রতিবেদনে ধরা হয়নি। উদাহরণস্বরূপ, যদি তার মা রান্না না করতে পারেন, তাহলে মাঝে মাঝে কাজ থেকে ফেরার পরে সে পরিবারের জন্য রান্নাও করে। কখনও কখনও তার বন্ধুরা আসে, তখন তারা বাড়িটির ছাদে চলে যায়, তবে এটা অত্যন্ত বিরল ঘটনা।
“রাত্রিবেলা যখন আমাকে আমাদের বাড়ির গোসলখানায় যেতে হয়, তখন আমি আমার মাকে ঘুম থেকে ডেকে তুলে সঙ্গে নিয়ে যাই।”
চামড়া সেলাই
মানালি তার কর্মস্থলে
কারখানাতে মানালি অবিরলভাবে ভারি যন্ত্র দিয়ে চামড়ার উপরে হাতুড়ির মতো মারতে থাকে আর তার সারা শরীরে ব্যথা হতে থাকে। যদি সে বিশ্রাম নিতে চায় তাহলে তার সুপারভাইজার তাকে বিশ্রাম নিতে দেন না।
কখনও কখনও মানালি প্রচণ্ড চাপে পড়ে যায়। উৎসবের মরসুমে সে কোনও ছুটি পায় না, তাকে তখন প্রতিদিনই, এমনকি শুক্রবারও কাজ করতে হয়। এমনকি দিনে ১২ ঘণ্টা কাজ করলেও সে মাত্র এক ঘণ্টার বিরতি পায়।
তবে মানালি অবশ্য বলে যে কাজের জায়গায় সে নিজেকে নিরাপদ বোধ করে,কারণ তার সহকর্মীরা তার সঙ্গে ভাল আচরণ করেন এবং তার খেয়াল রাখেন।
হিটিং মেশিনের সাথে কাজ করা
“আমার গা গুলোচ্ছে, আমার মাথা ঘুরছে। আমি হয়তো বমি করে ফেলব। আমার বুক আর চোখ জ্বলে যাচ্ছে। ল্যাটেক্স লেগে গেলে গায়ের চামড়া কালো হয়ে যায়। যেহেতু আমাকে ঝুঁকে পড়ে লাগাতে হয়, তাই আমার কোমর আর পা ব্যথা করে।
মানালির দিন
শিশুর অভিজ্ঞতা
আপনি এখানে আছেন তাই আমি স্বস্তি পাচ্ছি। গত রাতে আমার ঘুম কম হয়েছিল,তাই এখন আমার ঝিমুনি আসছে। যেহেতু আমি TV দেখি আর আমার ফোন ব্যবহার করি তাই ঘুমাতে আমার অনেক দেরি হয়ে যায়।
আমি একা থাকা পছন্দ করি না। যদি আমার সঙ্গে সময় কাটানোর জন্য কেউ থাকত তাহলে আমি একা বোধ করতাম না। আমার বাবা-মা আমার সঙ্গে ভালভাবে কথা বলেন না। তারা আমার উদ্দেশ্যে চিৎকার করেন আর মারধর করেন। কখনও কখনও আমার ভয় করে কারণ আমার বাবা মৃতদেহ বয়ে নিয়ে যান। আমার ভয় হয় যে মৃতদের আত্মা বাবার সঙ্গে বাড়িতে এসে আমাদের জ্বালাতন করবে। আমি একা কোথাও যেতে পারি না। দিনের বেলায় আমি কাজে যেতে পারি, কিন্তু রাতে একা কোথাও যাই না। আমি সবসময়েই মাকে সঙ্গে নিয়ে যাই। রাতে যদি গোসলখানায় যেতে হয়, আমি মাকে ঘুম থেকে জাগাই আর তারপরে তিনি আমাকে গোসলখানায় নিয়ে যান।
গবেষকদের অভিজ্ঞতা
মানালি বাড়িতে টিভি দেখে অথবা শুধু একা বসে বসে সময় কাটায়।
গোসলখানা ব্যবহার করার সময় আমি দেখেছিলাম যে সেটি খুব ছোট, কোনও জানালা অথবা বাতাস চলাচল করার কোনও ব্যবস্থা নেই। পরে আমি জেনেছিলাম যে আগে গোসলখানার দেওয়ালে একটা গর্ত ছিল। একবার গোসল করার সময় মানালি মানসিক আঘাত পেয়েছিল যখন সে দেখেছিল একটা ছেলে সেই গর্তটা দিয়ে তাকে দেখছে, তার বাবা ও মা সেই ছেলেটা ধরে মার দেন আর গর্তটা বন্ধ করে দেন। .
আমি যখন ঘরে ঢুকলাম শুনলাম একটা পাখি ডাকছে। তার বাবা তাকে খুব বেশি বাইরে যেতে দেন না, তাই সময় কাটানোর জন্য সম্প্রতি সে একটা ছোট্ট সবুজ পাখি পুষতে শুরু করেছে, সে আমাকে পাখিটা দেখাল। তার অন্যান্য ভাইবোন থাকার আকাঙ্ক্ষা থেকে বোঝা যায় যে সে কতটা একা।
শিশুর অভিজ্ঞতা
বাড়ি থেকে বেড়িয়ে রাস্তায় হাঁটতে আমার ভাল লাগে। কখনও কখনও ছেলেরা আমাকে হয়রান করে, আমার খুব অস্বস্তি লাগে, কিন্তু আমি নানা জায়গায় ঘুরতে চাই যদিও তা নিরাপদ নয়, তবে আমার অন্য কোনও উপায় নেই। আমি যে রাস্তা দিয়ে কাজে যাই সেটি নিরাপদ, কারণ পথে একটা মসজিদ আছে।
গবেষকদের অভিজ্ঞতা
আমরা হেঁটে মানালির কারখানার দিকে যাচ্ছি, যখন সে সামনের ফটক দিয়ে বাইরে এলো তখনই তার মন উৎফুল্ল হয়ে উঠল।
চামড়ায় ল্যাটেক্স লাগানো হচ্ছে
শিশুর অভিজ্ঞতা
আমি যে মুহূর্তে কাজের জায়গায় পৌঁছাই তখনই ভাবতে শুরু করি যে কখন ফিরব।
সকালবেলায় আমি প্রথম যে কাজটা করি সেটা হল চামড়ায় ল্যাটেক্স লাগানো। এই কাজটি করার সময়ে আমার গা গুলোয় আর চোখ জ্বালা করে।
তারপর সারাদিন আমার সুপারভাইজার আমাকে যে বিভিন্ন ধরণের কাজগুলি দেন আমি সেইগুলি করি। কখনও কখনও চামড়া সমান করার জন্য আমাকে হাতুড়ি দিয়ে চামড়া পেটাতে হয়। চামড়া কাটার সময়ে আমার হাত ব্যথা করে। যখন আমার হাতে কোনও রাসায়নিক লাগে, তখন আমি একটা চামচ দিয়ে খাই অথবা আমার মা আমাকে খাইয়ে দেন।
গবেষকদের অভিজ্ঞতা
কাজের পরিবেশটা অস্বাস্থ্যকর আর নোংরা। ল্যাটেক্সের গন্ধটা সত্যিই খারাপ। এটা আপনাকে অসুস্থ করে ফেলবে এবং গা গুলাবে, কিন্তু মানালি ধৈর্য ধরে কাজ করে। যখন সে ল্যাটেক্স পেস্ট লাগায় তখন পাখা বন্ধ করে দিতে হয়, তখন স্বাভাবিক অবস্থার চেয়েও বেশি তীব্র দুর্গন্ধ হয়। সবাই তাকে তাড়াতাড়ি করতে বলে যাতে তারা আবার পাখা চালিয়ে দিতে পারে।
প্রত্যেকেই প্রত্যেকের পিছনে লাগে। সুপারভাইজার অনবরত তাদের কাজের দিকে নজর রাখেন।
মানালির বাসার সিঁড়ি
শিশুর অভিজ্ঞতা
আমি না থেমে কাজ করেছি, তাই আমার শরীর কিছুটা বিশ্রাম নিতে পারে। বিশ্রাম নিতে এতো ভাল লাগে!
আমার মা কিছুক্ষণের মধ্যেই বাড়িতে ফিরে আসবেন। একসঙ্গে খেতে বসার জন্য আমি তার আসার অপেক্ষা করছি।
গবেষকদের অভিজ্ঞতা
মানালিকে বাড়িতে অনেকটা স্বস্তিতে দেখা যায়। তার বাবা ঘুমাচ্ছেন আর তার মা বেড়িয়ে গিয়েছেন। সে আমাকে Wi-Fi ব্যবহার করতে দিল। সে সাধারণত TV দেখে আর তার মায়ের সঙ্গে দুপুরের খাবার খায়।
শিশুর অভিজ্ঞতা
সবাই ঘুমাচ্ছে আর আমার খালা বাড়িতে নেই। তবুও আমার এখানে এসে আমার ছোট্ট চাচাতো ভাইয়ের সঙ্গে খেলতে ভাল লাগে। আমি ঘুরে বেড়াতে পারি আর আরাম করতে পারি। নিজেকে সতেজ আর উদ্যমী মনে হয়।
গবেষকদের অভিজ্ঞতা
মানালির প্রিয় জায়গা হল তার খালার বাড়ি। সে এখানেই সবচেয়ে খুশিতে থাকে।
সে আমাকে বলল যে এখানে আসার কথা আমি যেন তার মাকে না বলি, জানতে পারলে মা এখানে আসা বন্ধ করে দেবেন। বর্তমানে এই দুই পরিবারের মধ্যে সম্পর্ক ভাল নয়।
মানালি আমাকে আরও বলল যে সে যে কাজ করে তা যেন আমি তার খালাকে না বলি,কারণ তিনি এটা পছন্দ করেন না। সে কাজে ফিরে যাওয়ার জন্য ছটফট করছিল। যদিও এখানে খুব ভাল সময় কাটছে, তবে তার উৎকণ্ঠা হচ্ছে যে তার খালা হয়তো মানা করবেন।
কাঁচি দিয়ে চামড়া কাটা হচ্ছে
শিশুর অভিজ্ঞতা
আমার হাত খুব ব্যথা করছে, মনে হয় ফোস্কা পড়বে। চামড়ার উপরে আঁকা আকৃতিগুলি খুবই ছোট, তাই সেগুলি কাটা খুব কঠিন। কাঁচিটা খুব ভারী। যেহেতু আমি অনেকক্ষণ করে ধরে চামড়া কাটছি আর পেটাচ্ছি, তাই আমার হাতে আর ঘাড়ে খুব ব্যথা হচ্ছে। আমার হাতে কালশিটে পড়ে যাবে।
অন্যান্য কাজের চেয়ে চামড়া সেলাই করা সহজ। আমি আরাম করে বসে বসে কাজ শেষ করতে পারি।
হাতুড়ি দিয়ে চামড়া পেটানোর সময় সেটাকে উপরে তোলা কষ্টকর। আমার হাতগুলি আর ঘাড় আগের চেয়েও বেশি ব্যথা করছে। হাতুড়ির ঘা যদি আমার হাতে পড়ে তাহলে হাত নীল হয়ে যাবে।
গরম করার জন্য একটা যন্ত্র আছে, সেটা খুবই গরম, তাই আমাকে সাবধানে সেটা ধরতে হয়, নয়তো আমি নিজেকে পুড়িয়ে ফেলব। একবার আমার এইরকম হয়েছিল। এটা আবারও হতে পারে ভেবে আমার ভয় করে।
বাথরুম ব্যবহার করার সময় আমার অস্বস্তি হয়, কারণ কারখানাতে পুরুষ আর মহিলাদের ব্যবহারের জন্য মাত্র একটাই বাথরুম আছে।
গবেষকদের অভিজ্ঞতা
মানালি চামড়ার খুব ছোট ছোট টুকরো কাটছে। ভুল করে দাগের বাইরে কাটা চলবে না, নয়তো তাকে বকুনি খেতে হবে। অনেকক্ষণ ধরেই সে চামড়া কাটছে, আমি দেখতে পাচ্ছি যে তার হাত নীল হয়ে গিয়েছে।
পরে, খুব মোটা একটা সুই দিয়ে মানালি সেলাই করছে। সে তার একজন সহকর্মীকে শিখিয়ে দিচ্ছে যে কী করে সেলাই করতে হয়। আমি তাকে সাহায্য করতে চাইলাম, কিন্তু সে আমাকে সাবধান করে দিয়ে বলল যে আমার আঘাত লাগতে পারে। সে খুব মনোযোগ দিয়ে কাজ করে।
সে এক ঘণ্টা ধরে সেলাই করছে। খুব মনোযোগ দিয়ে কাজ করার পক্ষে এই কাজটা খুব দীর্ঘ সময়ের। তাকে ক্লান্ত মনে হচ্ছে। বড় কাঁচি দিয়ে কাটা মনে হয় যেন সহজ কাজ, তবে আমি নিজে করতে গিয়ে বুঝলাম এটা খুবই কঠিন, আরও বুঝলাম যে কেন মানালি আমাকে বলে চলেছে যে তার হাত ব্যথা করছে।
হাতুড়ি দিয়ে চামড়া পেটানোকে মনে হয় তার কাজগুলির মধ্যে সবচেয়ে বিপজ্জনক। মানালি খুব জোরে চামড়ায় বাড়ি মারে, যদি ভুল করে নিজের হাতে মেরে বসে, তাহলে তা খুবই বেদনাদায়ক হবে। তবে দেখে মনে হয় এই কাজটা তার পক্ষে খুব সাধারণ। হাতুড়িটা খুবই ভারী আর ল্যাটেক্সের দুর্গন্ধ অত্যন্ত তীব্র।
আমি মানালিকে প্রথমবার তার ওয়ার্কস্টেশন ছেড়ে উঠতে দেখলাম যখন সে বাথরুমে গেল। সে বলল যে জরুরি না হলে সে গোসলখানা ব্যবহার করতে চায় না। সারাদিনে মানালি একবার মাত্র তার হাত ধুয়েছে, একবার মাত্র বাথরুমে গিয়েছে, আর একবার কি দুইবার পানি খেয়েছে। সে পানি খাওয়া এড়ায় যাতে তাকে বাথরুমে যেতে না হয়, এছাড়াও কাজের চাপে সে পানি খেতে ভুলে যায়।
চামড়ায় রাসায়নিক লাগানো হচ্ছে
শিশুর অভিজ্ঞতা
মাথা খুব ব্যথা করতে থাকায় মনোযোগ দিতে পারছি না। তাই আমি বারে বারে ভুল করে চলেছি, আমাকে সবকিছু আবারও করতে হবে। একই কাজ বারে বারে করতে হলে আমার খুব হতাশ লাগে। তারা পণ্যগুলি নিয়ে আমাকে সতর্ক থাকতে বলে, কিন্তু আমি যদি ব্যথা পাই তাহলে তারা একটুও মাথা ঘামায় না।
গবেষকদের অভিজ্ঞতা
অনেকক্ষণ ধরে মানালি একটা হাতুড়ি) দিয়ে চামড়া পিটিয়ে চলেছে। এটা নিশ্চয়ই খুব ক্লান্তিকর। এছাড়াও দীর্ঘ সময় বসে বসে কাজে দেহের সমস্ত শক্তি প্রয়োগ করাও মনে হয় খুব কষ্টকর। সে চলে যাওয়ার জন্য ছটফট করছে।