শিশুদের মুখে শোনা তাদের গল্প জীবনের এক দিন

আদিয়া, ১৫ বছরের মেয়ে

শিশুদের আসল নাম সুরক্ষিত
১৫ বছর বয়সী আদিয়া একটি ছোট কারখানায় গরম পরিবেশে সারাদিন চামড়া কেটে দস্তানা বানানোর কাজ করে। তার হাত ব্যথায় কাঁপতে থাকে। সন্ধ্যাবেলায় সে আরও চামড়ার কাজ করে, কিন্তু তখন সে বাড়িতে থেকে রাত ১১-টা পর্যন্ত কাজ করে। সে তার পরিবারের সঙ্গে একটি এক কামরার অন্ধকার বদ্ধ ঘরে বাস করে, এই ঘরটি একটি বড় বাড়িতে, যে বাড়িতে রাতে অনেক মানুষ এসে ভিড় জমায়। এই পরিবেশে আদিয়ার সব সময়েই অস্বস্তি হতে থাকে।

আদিয়ার জীবন সম্পর্কে

আদিয়া তার মা, বাবা, ভাই এবং দুই বোনের সঙ্গে ঢাকার গজমহলে বাস করে। আদিয়ার পেশা হল দস্তানা কাটা। তার ভাই একটা জুতোর কারখানায় কাজ করে। তার বোনের স্বাস্থ্য ভাল নয়, তাই সে কাজ করে না। তার আরেক বোন স্কুলে পড়ে আর আদিয়ার সঙ্গে দস্তানা তৈরিও করে। আদিয়ার বাবা একটি চামড়ার কারখানায় কাজ করেন। তাদের বাড়িতে জায়গা কম থাকায় রাতে তিনি কারখানাতেই ঘুমান। তার মা বাড়িতে থেকেই দস্তানা কাটেন। আদিয়া প্রথমে সেলাই করা শিখেছিল একটি NGO (World Vision)-তে। আদিয়ার বাবার একটা চামড়ার কারখানা ছিল,সেটি আগুনে পুড়ে গিয়েছিল, ফলে বাড়ি ভাড়া বাকি পড়ে গিয়েছিল, এবং যেহেতু পরিবারটির আয় ছিল মাসে প্রায় ৯০ আমেরিকান ডলার, তাই বকেয়া ভাড়া বহন করা পরিবারটির পক্ষে বেশ কঠিন ছিল। কোভিড-১৯ অতিমারীর সময় বেশ কয়েক মাস বাড়িভাড়া দেওয়া যায়নি, ফলে বকেয়ার পরিমাণ বেড়ে গিয়েছিল। ছোট বোনের লেখাপড়ার খরচ জোগানোর জন্য আদিয়া দস্তানা কাটার কাজ করে। আদিয়ার কথা অনুসারে তার অন্য বোন মানসিকভাবে সুস্থ নয়, তাই সে কাজ করতে পারে না।

একটা চামড়ার কারখানা পুড়ে যাচ্ছে

“কাজ করতে ভাল লাগে না, মনে হয় হাতগুলো যেন অবশ হয়ে গিয়েছে।”

Aadya carrying water up the stairs in her building

নিজের বাড়িতে আদিয়া জল নিয়ে সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠছে

২০২২ সালের ২৬শে জুলাই তারিখে আদিয়া তার বাড়ি থেকে ৩-৪ মিনিট দূরে তার চাচির বাড়িতে কাজের জায়গায় যাওয়া এবং অভিজ্ঞতা রেকর্ড করেছিল।

সেই দিন সে আরবি শিখবার জন্য তার শিক্ষকের বাড়িতেও গিয়েছিল। এই দিনটি আদিয়ার অন্য দিনগুলির মতোই, তবে যখন সম্ভব হয় তখন সে তার বন্ধুদের সঙ্গে হাঁটতে গিয়ে ফুচকা (বাংলাদেশী স্ট্রিট ফুড) খেতে ভালবাসে, যা তার বাড়ি থেকে দূরে নয়। আদিয়ার দৈনন্দিন জীবনের কয়েকটি বিষয় এখানে ধরা হয়নি। যেমন, ঘুম থেকে উঠার পরে সে সাধারণত তার ছোট বোনকে পড়ায়, এছাড়াও বালতি করে পানি আনার মতো অন্যান্য কাজও করে। গবেষকরা তার কাছ থেকে চলে যাওয়ার পরে, ঘুমাতে যাওয়ার আগে সে তার পরিবারের জন্য রান্না করেছিল আর বাড়ির কাজও করেছিল।

আদিয়া প্রতিদিন সাধারণত ১২ ঘণ্টারও বেশি সময় দস্তানা কাটে, রান্না করে, বাড়ির কাজকর্ম করে আর ভাইবোনদের পড়ায়।

রান্নার জায়গায় আদিয়া, যেটি ৩৫টি পরিবার ভাগাভাগি করে ব্যবহার করে

নির্মাণ কর্মীদের ব্যবহারের জন্য শিল্পে ব্যবহার করার দস্তানা কাটার কাজ করছে

আদিয়া যখন সারা দিনের কথা ভাবে, তখন সে বলে যে “দিনটা ভাল কেটেছে”। সে বোঝে যে তার জন্য সবচেয়ে অনিরাপদ স্থান হল তার বাড়িটি – এবং সে ভাবছিল যে এই প্রথম কীভাবে সে এই কথা অন্য কাউকে বলেছে। বাড়ির ছাদে একটা ডান্স ক্লাব আছে, অর্থাৎ অনেক খারাপ লোক সেখানে আসে, নেশা করে আর ঝগড়া করে। এক সন্ধ্যায় বাড়ির পাশের অন্ধকার গলিটা দিয়ে যাওয়ার সময় ছেলেরা তার খুব কাছাকাছি হাঁটছিল। রাত্রিবেলায় যখন গ্যাস থাকে তখন আদিয়া একতলায় পরিবারের জন্য রান্না করে, কিন্তু সেই জায়গাটা বেশ অন্ধকার। গত রাতে আদিয়া যখন এক হাঁড়ি গরম ঝোল নিয়ে দোতলায় তাদের ঘরে যাচ্ছিল, তখন দেখতে অসুবিধা হওয়ার জন্য তার হাত থেকে হাঁড়িটা পড়ে গিয়েছিল। সে বলেছিল যে তার ভাগ্য ভাল থাকায় তার আঘাত লাগেনি।

আদিয়া তার কর্মস্থলে

বাড়ির তুলনায় কাজের জায়গাটিকে আদিয়া নিরাপদ বোধ করে। সেখানে কোনও খারাপ লোক নেই, আর সে প্রায়ই একলা একলাই কাজ করে। তার কাজের বিষয়ে বিপজ্জনক জিনিসটি হল কাঁচি। মাসে বেশ কয়েকবার আদিয়ার হাত কেটে যায়, ব্যথা কমাতে ওষুধ নিতে হয়, আর তারপরেও কাজ করে যেতে হয়। চামড়া ট্যান করার কাজের দুর্গন্ধ তার মোটেই ভাল লাগে না। তার মেজাজ যখন ভাল থাকে, তখন সে তাড়াতাড়ি কাজ শেষ করতে পারে, আর তা না হলে সে প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কাজ করে।

তারপরেও বাড়িতে আদিয়ার রান্না আর বাড়ির কাজ থাকে, এছাড়াও সে প্রায়ই রাত ১০টা অথবা ১১টা পর্যন্ত বাড়িতেই দস্তানা তৈরির কাজ করে যাতে তার মার সাহায্য হয়।

সারাদিন চামড়া কাটার পর আদিয়ার কালশিটে পড়া ও পুড়ে যাওয়া হাত

“আমার মেজাজ সব সময় খারাপ থাকে না, তবে কখনও কখনও নানা রকমের দুশ্চিন্তা হয়। আমি ভাবি আমি যদি আবার স্কুলে যেতে পারতাম! কিন্তু তারপরে আমার বোনের স্কুলের পড়াশোনা, তার স্কুলের পোশাক আর ওই রকমের সব খরচের কথা ভাবি”

আদ্যার দিন

Aadya cooking for her family outside

আদিয়া তার পরিবারের জন্য বাইরে রান্না করছে

০৭.০০
বাড়িতে

শিশুর অভিজ্ঞতা

আমি তাড়াতাড়ি উঠে রেডি হচ্ছিলাম। আমার ঘুম ভাল হয়নি। একটা মেয়ে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছিল আর আমি মৃতদেহ দেখেছিলাম। আমি ঝুলে থাকা মেয়েটির কথা ভাবছিলাম আর শিউড়ে উঠছিলাম।

গবেষকদের অভিজ্ঞতা

সকাল ৮.৩০-এ আমি আদিয়ার সঙ্গে দেখা করি, সে তার বড় বোন ছোট বোন, মা আর দাদার সঙ্গে ছোট একটা ঘরে বাস করে। আদিয়া তার ছোট বোন আর দাদার সঙ্গে একটা বিছানায় শোয়, আর তার মা আর বড় বোন অন্য আরেকটি কোণায় শোয়। আমি যখন পরে ফিরে এসেছিলাম তখন সবাই আবারও ঘুমচ্ছিল, আর তাই দেখে আমি ভাবছিলাম যে ঘরটি ছোট হওয়ার কারণে তাদের ঘুমাতে অসুবিধা হচ্ছিল কিনা। বিছানা পাতার পরে ঘরে আর কোনও জায়গা ছিল না, শুধু একটি সেলাই মেশিন আর একটা কাপড় শুকানোর র‍্যাক ছিল।

০৯.০০
হেঁটে হেঁটে কাজে যাওয়া

শিশুর অভিজ্ঞতা

এই রাস্তা ধরেই আমি কাজে যাই আর বাড়ি ফিরে আসি। আমি সব সময় হেঁটেই যাই। আজ খুব গরম পড়েছে, আর আমি বলছি, “কী রোদ!” আমি বুঝলাম আমার খুব খিদে পেয়েছে, কারণ সবাই কম খাচ্ছে। রাস্তায় আলো আর লোকজন থাকলে পথ চলতে আমি নিরাপদ বোধ করি। রাস্তার ধারে যদি কোনও খারাপ লোক বসে থাকে, তাহলে সেটা আমার জন্য নিরাপদ নয়।

গবেষকদের অভিজ্ঞতা

কারখানাটি আদিয়ার বাড়ির কাছেই, আর আমি লক্ষ্য করেছিলাম যে পথ চলতে চলতে সে কীভাবে দাঁড়িয়ে পরিচিত কারোর সঙ্গে কথা বলে। আজকের দিনটা খুবই গরম আর রোদ খুব বেশি।

আদিয়া যে ধরনের দস্তানা তৈরি করে

০৯.০০ – ১৭.০০
দস্তানা কাটার কাজে

শিশুর অভিজ্ঞতা

কাজের জায়গায় আমি সারাদিন কাঁচি দিয়ে দস্তানার আকার আর মাপ অনুযায়ী হাতের দস্তানা কাটি। এই কাজটা আমি পছন্দ করি না, কারণ আমার হাতে খুব ব্যথা হয়। ধরার পক্ষে কাঁচিটা খুব ভারী। কাজ করতে ভাল লাগে না, হাত দুটো মনে হয় খুলে যায়। গরম এতো বেশি যে ফ্যান চালু থাকলেও অসহ্য মনে হয়। খালি পেটে কাজ করতে ভাল লাগে না। কাজ করতে করতে ফোনে নাটক দেখার জন্য কার্ড কিনতে বাইরে যেতে হলে ভাল লাগে। ছোট বোন যখন আসে তখনও ভাল লাগে। আমার অনেক কাজ থাকে, তাই একলা করার চেয়ে বোন এলে তার সঙ্গে কাজ করতে আমার ভাল লাগে।

গবেষকদের অভিজ্ঞতা

দস্তানা কাটা যে কতটা কঠিন তা দেখে আমি অবাক হয়ে যাই। আমি নিজে তিন জোড়া কেটে দেখেছি, হাত ব্যথা করতে থাকে। সারা দিন বসে বসে ১,০০০ জোড়া কাটা খুবই কঠিন কাজ। আমি আদিয়ার হাতে তিনটে গভীর ক্ষতের চিহ্ন দেখেছি, এছাড়া তার চামড়াতেও পোড়া দাগও ছিল।

ঘরটি খুব গরম আর তাতে একটি মাত্র ছোট পাখা আছে। এতো গরম সত্ত্বেও সে নির্ভুলভাবে কাজ করছে। সে যখন খুশি মনে তার মোবাইলে বাংলা নাটকের সিরিয়াল দেখতে দেখতে দস্তানা কাটতে থাকে, তখন আমার উদ্বেগ হয় যে এর ফলে আরও দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। বিরতির সময়ে সে কিছু খায় না কিন্তু পরে মনোযোগ দিয়ে কাজ করে। দুপুরের খাওয়ার পরে সে কারখানায় ফিরে আসে। সারা দিন সেখানে বসে থাকতে ভাল লাগে না।

Aadya in the cooking space that is shared by 35 families

রান্নার জায়গায় আদিয়া, যেটি ৩৫টি পরিবার ভাগাভাগি করে ব্যবহার করে

১২.০০
দুপুরের খাবার খেতে বাড়ি যাওয়া

শিশুর অভিজ্ঞতা

আমি প্রায়ই কাজ এবং বাড়ির মধ্যে দুপুরের খাবার রান্না করতে যাই, আর এটা করার সময় আমার খুব খিদে পায়। সিঁড়ি বেয়ে উঠতে ক্লান্ত হয়ে পড়ি। আমি এটি পছন্দ করি না আর পানি ভর্তি বালতি নিয়ে উপরে যাওয়া বেশ কঠিন।

গবেষকদের অভিজ্ঞতা

রান্নার জায়গাটা খুব নোংরা, এটি একতলায় গ্যারাজের কাছে, সেখানে অনেকেই রান্না করে। গ্যাসের সমস্যায় রান্না করতে অসুবিধা হয়, তাছাড়া এতোগুলো সিঁড়ি বেয়ে তাকে বারে বারে উপর-নিচ করতে হয়। ৩৫টি পরিবারের রান্না করার জন্য মাত্র চারটি চুলা,রান্নাঘরটা সবসময়েই ব্যস্ত থাকে আর ঝগড়া-বিবাদ হয়। আদিয়ার উপর চিৎকারের একটি স্পষ্ট প্রভাব রয়েছে। তবে খাওয়ার পরে তাকে অনেকটা স্বস্তিতে দেখা যায়। খালি পেটে কাজ করা কঠিন।

১৮.০০
আরবি শিখতে যাওয়া

শিশুর অভিজ্ঞতা

কাজের পরে আমার হাতে সময় খুব বেশি থাকে না বটে, তবে আরবি শেখা জরুরি। আমি সন্ধ্যা ৭টার সময় সেই ভদ্রলোকের বাড়িতে যাই যিনি আমাকে আরবি শেখান। সেখানে যাওয়ার রাস্তাটা মোটেই ভাল না। ছেলেরা সেখানে বসে থেকে, খাবার খায়, আড্ডা মারে আর সিগারেট ফোঁকে। শেখার পরে আমি বাড়িতে ফিরে এসে আমার পরিবারের জন্য রান্না করি।

গবেষকদের অভিজ্ঞতা

রাত্রিবেলায় রাস্তাটা ভয়ংকর অন্ধকার থাকে। রাস্তার মাঝে কয়েকটা ছেলে দাঁড়িয়ে থাকে, মোবাইলের আলোতে তারা আদিয়াকে দেখার চেষ্টা করে, আর তার পরে বিড়বিড় করে আমাদের কিছু বলতে থাকে। রাস্তা পার হওয়ার সময় আমরা তাদের কথার মধ্যে যা শুনতে পাই তার একটা হল, “আমার একটা গার্ল লাগবে” (আমার একটা মেয়ের প্রয়োজন)। এই গবেষণার জন্য আমাকে যে অফিশিয়াল মোবাইলটা দেওয়া হয়েছে সেটার কথা ভেবে আমার একটু ভয়ও লাগে। মেয়েদের জন্য এই জায়গাটা নিরাপদ বলে মনে হয় না।

১৯.১৫
পাড়ার মধ্যে দিয়ে হাঁটা

শিশুর অভিজ্ঞতা

গবেষকের সঙ্গে আমি যখন গলিতে আসি তখন সেটি খুব অন্ধকার থাকে। হটাতই তিনটি ছেলে আমাদের মুখে আলো ফেলে। এতে আমার আরেকটা দিনের কথা মনে পড়ল, সেদিন একটা ছেলে আমার খুব কাছে চলে এসেছিল যদিও তার যাওয়ার জন্য যথেষ্ট জায়গা ছিল। তবে আমার চাচি আমার সঙ্গে ছিলেন, তিনি আমাকে রক্ষা করতে পারতেন। আমাদের বাড়ি থেকে আসা আলো ছাড়া এই গলিটাতে আর কোনও আলো নেই। রাত্রিবেলায় এখানে ঘন অন্ধকার নেমে আসে।

সারা দিন এখানে অনেকেই আসে, তাদের মধ্যে কেউ কেউ নেশা করে। সব সময়েই অনেক লোক হাঁটতে থাকে আর তারা আমার দিকে তাকায়। কিছু লোক আছে যাদের আমি এড়াতে চাই। আমাদের বাড়িতে আমার অস্বস্তি লাগে, কারণ একটা ছেলে আছে যে ঘুষি মারে আর আমাকে দেখলেই অনেক কথা বলে। সে থাকলে আমি সেখানে না যাওয়ার চেষ্টা করি।

গবেষকদের অভিজ্ঞতা

তার বাড়ির পাশের গলি দিয়ে তার বোনের সঙ্গে আমরা হাঁটছি, গলি দিয়ে ছেলেদের আসার শব্দও আমরা পাচ্ছি। আমাদের মোবাইলের আলো জ্বালিয়ে দেখলাম যে তাদের মধ্যে একটা ছেলে এমন কিছু বলল যা আমাকে ভয় পাইয়ে দিল। বাড়িটার ছাদে একটা ডান্সিং ক্লাব আছে, আদিয়া আমাকে বলল যে এখানে অনেক ছেলে আর মেয়ে ঘুরে বেড়ায়। এখন রাত্রিবেলা, আমি দেখতে পেলাম যে অনেক লোক বিনা কারণেই আদিয়াদের দরজার পাশে হাঁটাহাঁটি করছে। সে তাদের আচরণ নিয়ে কিছু বলবে না, কারণ বললে তাকেই দোষী সাব্যস্ত করা হবে। সবাই তাদের আচরণ মেনে নিয়েছে।

১৯.৩০-২২.৩০
সন্ধ্যাবেলায় বাড়িতে কাজ করা

শিশুর অভিজ্ঞতা

আমার মাকে তার অর্ডারগুলি শেষ করতে সাহায্য করার জন্য বাড়িতে ফিরে যাওয়া কঠিন। আমি যখন সন্ধ্যাবেলায় বাড়িতে দস্তানা তৈরি করা শুরু করেছিলাম, তখন আমি ভেবেছিলাম যে এটা কত কঠিন, কিন্তু আমার মায়ের পক্ষে এটা আরও কঠিন, কারণ তিনি একা কাজ করেন, তাই আমিও করি। আমি আমাদের বাড়িতে (ভবনে) যে বান্ধবীরা থাকে তাদের সঙ্গে কথাবার্তা বলে আর নাটক দেখে সময় কাটাতে পছন্দ করি। তাদের টিভি দেখতে আসার জন্য অপেক্ষা করতে আমার ভাল লাগে না। আমি আগেই দেখে ফেলা পছন্দ করি।

গবেষকদের অভিজ্ঞতা

আমি সন্ধ্যা ৮.৩০-এ চলে যাই, আদিয়া ততক্ষণে চামড়ার দস্তানা তৈরির কাজ শুরু করে দিয়েছিল। সে আমাকে বলল যে সে আজ রাতে দশটা অথবা এগারোটা পর্যন্ত কাজ করবে। সে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কারখানায় কাজ করে, আর তার পরে সে বাড়িতে এসে সে তার মাকে সাহায্য করে,কারণ একা একা কাজ শেষ করতে তার মায়ের অসুবিধা হয়।

রেখার যাত্রা অন্বেষণ করুন