মারিশা, ১৪ বছর বয়সী মেয়ে
মারিশার জীবন সম্পর্কে
মারিশা তার মা আর বাবার সঙ্গে ঢাকার গজমহলে বাস করে। তার বাবা একজন কবিরাজ এবং তার মা তিনটি বাড়িতে কাজ করেন। মারিশার বড় ভাই ও বড় বোনের বিয়ে হয়ে গিয়েছে, তারা অন্যত্র থাকেন। তার ছোট ভাই তাদের গ্রামে থেকে লেখাপড়া করে।
তারা যখন গ্রামে থাকত, তখন মারিশার মা একাধিক মহাজনের থেকে ঋণ নিয়েছিলেন, তারপরে পরিবারটিকে সেই সুদখোর মহাজনরা হুমকি দিত। এই চাপের ফলে তার মায়ের স্বাস্থ্য ভেঙে পড়ে, তখন পরিবারটি গ্রাম ছেড়ে কাছাকাছি একটি শহরে চলে আসে। তারপরে যখন কোভিড-১৯ অতিমারীর ঢেউ এলো তখন মারিশার বাবার ও মায়ের চাকরি চলে গেল, ফলে পরিবারটি তাদের বাড়ি থেকে উচ্ছেদ হয়ে যায় এবং তারপরে তারা ঢাকায় চলে আসে।
মারিশার উপার্জনের অর্থ তার বাবা নিয়ে নিচ্ছেন
“আমায় বাবাকে ৩০০০ BDT (US $২৭) দিতে হয়, নয়তো আমাকে লাথি মেরে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেবে। কোনটা আগে আসে, অর্থ নাকি শরীর? আমি যা রোজগার করি তা দিয়ে আমি কী করব যদি শরীরটাই না রাখতে পারি?”
চামড়া সেলাই করা হচ্ছে
১৩ বছর বয়সে ঢাকায় আসার পরে, বাবা ও মায়ের ইচ্ছার বিরুদ্ধে মারিশা কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।, যদিও তার ইচ্ছা ছিল যে কোনও এক সময় সে আবার লেখাপড়া করতে পারবে।
মারিশা এখন একটা জুতোর কারখানায় কাজ করে মাসে BDT ৭১৫১ (US $৬৫) উপার্জন করে। ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে, স্কুল ছেড়ে কাজ শুরু করার ১৮ মাস পরে মারিশা একটা মাদ্রাসায় ভর্তি হয় যাতে আংশিক সময়ের জন্য সে পড়াশোনা করা চালিয়ে যেতে পারে।
২০২৩ সালের ৯ই মার্চ তারিখে মারিশা তার সেই দিনটি এবং বাড়ি থেকে কর্মস্থলে যাওয়ার অভিজ্ঞতা রেকর্ড করে। তার বাড়ি থেকে কর্মস্থলে যেতে প্রায় ১২ মিনিট হাঁটতে হয়। সেই দিনটিতে মারিশা খালের ধারে তার প্রিয় জায়গাটিতে যায়, একজন বন্ধুর বাড়িতে যায়, স্ট্রিট ফুড কিনে খায় এবং তার ভাবীর বাড়িতেও যায়। যখনই সুযোগ আসে, তখনই মারিশা তার বন্ধুদের সঙ্গে হাঁটতে গিয়ে বাংলাদেশী স্ট্রিট ফুড খেতে ভালবাসে। স্থানীয় বাজার তাদের বাড়ি থেকে প্রায় ৩০ ফিট দূরে, সে সেখানে গিয়েও কেনাকাটা করে। এই দিনটি মারিশার অন্য দিনগুলির মতো নয়, কারণ সে অসুস্থ বোধ করছে এবং লাঞ্চের পরে কারখানা থেকে ছুটি নিয়েছে। সাধারণত সে সপ্তাহে ছয় দিন (শুক্রবার বাদে প্রত্যেক দিন) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত কাজ করে, আর ওভারটাইম কাজ করতে হলে রাত ৯টা পর্যন্ত করে (এটা এত ঘন ঘন করতে হয় যে এটাই হল স্বাভাবিক)।
মারিশার দিনের কয়েকটি বিষয় এখানে ধরা হয়নি। উদাহরণস্বরূপ, ভবনটির সবার ব্যবহারের বাথরুম থেকে পরিবারটির ঘরে মারিশা প্রায়ই বালতি করে পানি নিয়ে আসে। এছাড়াও, যে কারখানায় মারিশা কাজ করে সেখানকার মালিক অনুমতি না দেওয়ায় মারিশার কাজের কিছু কিছু বিষয় আমাদের গবেষক পরিদর্শন করতে পারেননি।
পাড়ার কুকুরগুলিকে মারিশা ভয় পায়
“আমি যদি অন্ধকার একা একা হেঁটে আসি তাহলে লোকে আমাকে বদনাম দেবে।”
মারিশার কারখানা
মারিশাকে বাড়িতে কোনও কাজ করতে হয় না, কারণ তার মা সব কিছু করেন। মারিশা কাজ করে এবং উপার্জন করে, তাই তার মা তাকে সম্মান করেন, এবং তিনি মারিশাকে খুব ভালবাসেন। মারিশার জীবনে তার বাবা মোটেই সহায়ক নন। তিনি মারিশাকে গালিগালাজ করেন এবং পারিবারিক উপার্জনে তার অবদান খুব বেশি নয়।
তাদের পাড়ার প্রতিবেশীরা থাকায় মারিশা নিজেকে নিরাপদ মনে করে। বাড়িতে থাকলে সে বিশ্রাম নিতে পারে এবং বসবাসের ভবনটির ছাদে গিয়ে বন্ধুদের সঙ্গে গল্পগুজব করতে পারে।
মারিশা তার ভবনের ছাদে কিছুটা বিরল অবসর সময় উপভোগ করছে
আমি কাজ করি আমার পরিবারকে সাহায্য করার জন্য, আমার মাকে অনেক ধার শোধ করতে হয়, তাকে সাহায্য করার জন্য আমি কাজ করি। আমার বাবা আমাদের পরিবারে কোনও সাহায্যই করেন না।
মারিশার দিন
শিশুর অভিজ্ঞতা
আজ সকালে ঘুম থেকে উঠতে খুব কষ্ট হচ্ছিল, এখনও আমার ঘুম পাচ্ছে। গত রাতে ওভারটাইম করার ফলে এখনও ক্লান্ত লাগছে।
আমার মেজাজ খারাপ লাগছে, কারণ এখন আমাকে কারখানায় যেতে হবে। আমি যদিও যেতে চাই না, তবুও আমাকে যেতেই হবে। কখনও কখনও এর ফলে নিজেকে অসহায় মনে হয়।
গবেষকদের অভিজ্ঞতা
তার শরীর খারাপ লাগছে। তাকে খুব ক্লান্ত দেখাচ্ছে আর মনে হয় যেন ঘুম পাচ্ছে। সে কাজে যেতে চায় না, কিন্তু তাকে যেতে হবেই। সে টানা চার সপ্তাহ ধরে ওভারটাইম কাজ করে চলেছে। ঈদের কারণে কারখানায় কাজের চাপ খুব বেশি, তাই সে একদিনের জন্যেও ছুটি নিতে পারেনি। তার সর্দি-জ্বর হয়েছে আর অনবরত কাশছে, এবং এছাড়াও তার মাসিকের ব্যথা হচ্ছে, ফলে তার নিজেকে দুর্বল বোধ হচ্ছে।
মারিশার কাজে যাওয়ার রাস্তা
শিশুর অভিজ্ঞতা
রমজানের সময় আমার কাজ শুরু হয় ভোর ৬টায়, আর এর ১০ মিনিট আগে আমাকে বাড়ি থেকে রওয়ানা হতে হয়। এখনও ভোর হয়নি, চারদিক অন্ধকার এবং সাধারণত রাস্তা-ঘাট খালি থাকে। কখনও কখনও রাস্তায় অদ্ভুত দেখতে মানুষ দেখা যায়, মাতাল, যৌন কর্মী আর পাগল। তারা রাস্তার ধারেই ঘুমায়। একা একা হাঁটার সময় আমার খুব ভয় করে। ধর্ষণ, অপহরণ আর শ্লীলতাহানির ভয় আমাকে সারাক্ষণ গ্রাস করে। এছাড়াও, চারপাশে অনেকগুলি কুকুর আছে, সেগুলি সব ঘেউ ঘেউ করে। আমি কুকুরদের খুব ভয় পাই। কয়েক দিন আগে কাজে যাওয়ার সময় কয়েকটা কুকুর আমাকে তাড়া করেছিল, তাই আমি দৌড়ে গিয়ে একটি বাড়ির ভিতরে লুকিয়েছিলাম। ইতিমধ্যেই কাজে পৌঁছাতে আমার দেরি হয়ে গিয়েছিল। কিছুক্ষণ পরে আমি একজন লোককে আসতে দেখলাম, তাকে বললাম রাস্তা পার হতে সাহায্য করতে। এই কারণে আমার কার্ডে ৩০ মিনিট দেরী লেখা হয়েছিল।
গবেষকদের অভিজ্ঞতা
সবে তার জ্বর সেরেছে বলে তাকে ফ্যাকাসে দেখাচ্ছে। যে রাস্তাটা দিয়ে সে যাতায়াত করে সেটা দুর্গন্ধপূর্ণ আর তাতে অনেকগুলি গর্ত আছে। এটি সত্যিই একটা ঝুঁকিপূর্ণ অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ। আমার মনে হয় যে সে খুব সাহসী, তাই এই রাস্তা দিয়ে সে একা একা যাতায়াত করে।
মারিশার কারখানা
শিশুর অভিজ্ঞতা
আমি জুতো তৈরির জন্য চামড়ার টুকরো সেলাই করি, প্রায়ই আমাকে বার্মিজ চামড়া নিয়ে কাজ করতে হয়, যা সেলাই করা আরও কঠিন। এটা সেলাই করতে আমার ভাল লাগে না, কিন্তু তবু আমাকে করতেই হয়। কাঁচা চামড়ার টুকরোগুলো ছোট থাকে, এই ছোট ছোট টুকরোগুলোকে একসঙ্গে জুড়ে আমাদের একজোড়া জুতা তৈরি করতে হবে। এই কাজ করার সময় হাতে সুচ ফুটে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। গতকাল আমার ভাগ্য খারাপ ছিল, আমার আঙুলে যন্ত্রের সুচ ঢুকে গিয়েছিল। সৌভাগ্যক্রমে, আমার সহকর্মীরা আমাকে সাহায্য করেছিলেন, তারা আমার আঙুলে ব্যান্ডেজ বেঁধে দিয়েছিলেন। আমাদের একটা ফার্স্ট এইড বক্স আছে, তাতে সাধারণ জিনিসগুলি থাকে, যেমন প্যারাসিটামল আর অ্যান্টিসেপ্টিক ক্রিম।
আমি রঙ দিয়ে জুতা ছাপানোর জন্য ব্যবহৃত একটি যন্ত্র নিয়েও কাজ করি। আমাকে বিভিন্ন যন্ত্রে কাজ করতে দেওয়া হয়, কারণ আমি সবগুলি যন্ত্রেই কাজ করতে পারি। ইতিমধ্যেই আমার খুব দুর্বল আর অসুস্থ বোধ হচ্ছে। ডাক্তার সাহেব বলেছেন যে আমার হার্ট দুর্বল। আমার কানেও সমস্যা আছে, মাড়ি থেকে রক্ত পরে, আমার রক্তচাপ কম আর আমি সব সময়েই ক্লান্ত বোধ করি।
গবেষকদের অভিজ্ঞতা
সে এক ঘণ্টা ধরে একটা সেলাইয়ের কল চালাচ্ছে। তার কাছে এই কাজটা কঠিন অথবা ঝুঁকির মনে হয় না, কিন্তু আমি বুঝতে পারছি যে তার সম্পূর্ণ মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন, আর তাই তাকে একটানা অনেকক্ষণ তাকিয়ে থাকতে হয়। সে আমাকে বলছে যে এই যন্ত্রটা নিয়ে কাজ করতে থাকলে তার মাথা ঘোরে আর চোখ ঝাপসা হয়ে যায়।
তাকে বিভিন্ন যন্ত্রে বিভিন্ন রকমের কাজ করতে হয়। একটি শিশু হিসাবে এতো ধরণের কাজ করা তার পক্ষে বেশ অসুবিধাজনক বলে মনে হয়।
মারিশার বাড়ি
শিশুর অভিজ্ঞতা
আমাদের গোসলের জায়গাটা খোলা জায়গায়, সবাই মিলে এর ব্যবহার করে। এর কোনও দরজা নেই। এর ঠিক পাশেই দুইজন বসে থালা মাজছে, তাই আমি তাড়াতাড়ি গোসল সেরে নিলাম। এই বাড়িতে থাকে একটা ছেলে যে একবার আমার গোসল করার সময়ে ভিতরে আসার চেষ্টা করেছিল, কিন্তু অন্য মহিলারা চিৎকার করায় সে থেমে গিয়েছিল।
গবেষকদের অভিজ্ঞতা
দরজা না থাকায় যে কেউ না জানিয়েই ভিতরে চলে আসতে পারে। গোপনীয়তা ভঙ্গের ঘটনাগুলি দুর্ভাগ্যবশত সম্ভবত খুবই সাধারণ এবং প্রতিদিনই ঘটে বলে মনে হচ্ছে। মনে হয় এই রকম পরিস্থিতিতে মারিশা অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছে।তবে এতে গুরুতর ঝুঁকি আছে, বিশেষত তার মতো অল্পবয়সী মেয়েদের জন্য।
গোসলখানাটা খুব সংকীর্ণ আর অন্ধকারও বটে।
শিশুর অভিজ্ঞতা
এখানে সুন্দর হাওয়া বইছে, বেশ ভাল লাগছে। আকাশে অনেকগুলি ঘুড়ি উড়ছে, ঘুড়ি ওড়া দেখতে আমার ভাল লাগে। দুই দিন পরে এই প্রথম আমি ছাদে এলাম, তাই আমি চারদিকের দৃশ্য এতোটা উপভোগ করছি। আমি গান শুনছি আর গাইছি। আমি কেমন গাই তা জানি না, কিন্তু আমি গাইতে ভালবাসি। ছাদে আমি ব্যাডমিন্টনও খেলি। এটা আমার প্রিয় খেলা, যদিও আমার নিজের র্যাকেট নেই। মাঝে মাঝে আমি আমার চাচাতো ভাইয়ের কাছ থেকে একটা র্যাকেট চেয়ে নিই।
গবেষকদের অভিজ্ঞতা
ছাদটা হল এমন একটা জায়গা যেখানে সে শান্তির খোঁজে আসে। তার প্রিয় জায়গায় আসার পরে তাকে সতেজ আর আনন্দিত দেখায়। সে ঘুড়ি ওড়া দেখতে ভালবাসে। তার গানের গলা খুব সুন্দর, অন্যদের গান শোনাতে সে ভালবাসে। এই ছাদের চারপাশে কোনও রেলিং নেই, তাই এটি খুব ঝুঁকিপূর্ণ।
ব্যাডমিন্টন খেলার সময়ে তাকে সবচেয়ে আনন্দিত আর খুশি দেখায়। তার স্বতঃস্ফূর্ত ও উদ্যমী ভাব আবার ফিরে এসেছে, এবং মনে হচ্ছে যেন সে তার চারপাশের জগতকে ভুলে গিয়েছে।
যে খালের ধারে মারিশা তার বন্ধুর সঙ্গে হাঁটে
শিশুর অভিজ্ঞতা
এই জায়গাটা সত্যিই দুর্গন্ধময়। এখানে ভাল করে নিঃশ্বাস নিতে পারছি না। কিন্তু এটাই একমাত্র জায়গা যেখানে আমরা হাঁটতে আসতে পারি আর কাছাকাছি থাকা বন্ধুদের সঙ্গে এখানেই দেখা করতে পারি। আমি ঘন ঘন এখানে আসতে পারি না, কারণ আমাকে সন্ধ্যাবেলায় ওভারটাইম কাজ করতে হয়। এছাড়াও এখানে মাঝে মাঝে সমস্যা হয়, ছেলেরা মেয়েদের হয়রান করে। তবে আজ তারা এখানে নেই, তাই সবকিছুই ভাল।
উঁচু জায়গায় আমার ভয় করে, পাড়া থেকে আমার আসার পথে একটা বাঁশের সাঁকো পার হতে হয়, তাই আমার খুব ভয় লাগে। তবে খালের ওপারে যাওয়ার জন্য এটা হল একমাত্র কম দূরত্বের পথ।
গবেষকদের অভিজ্ঞতা
জায়গাটা দুর্গন্ধময়। এখানকার পানি দূষিত, পানিতে মড়া পশু, শুকনো চামড়া আর অন্যান্য বর্জ্য পদার্থ আছে। দুর্ভাগ্যবশত, মারিশা এবং তার বন্ধুদের হাঁটার জন্য এটিই হল একমাত্র জায়গা।
খালের উপরের সাঁকোটা দেখে খুব পলকা মনে হয়। এটা পার হতে মারিশা ভয় পায় কিন্তু তার অন্য আর কোনও বিকল্প নেই। ভয়ে সে চিৎকার করে, তার পক্ষে এটি একটি দুঃখজনক অভিজ্ঞতা।
শিশুর অভিজ্ঞতা
আমি সাধারণত এই রাস্তাটা দিয়ে যাই না, কারণ এটা সবসময়েই অন্ধকার আর ফাঁকা থাকে। আমি বন্ধুর বাড়িতে যেতে চাইছিলাম, কিন্তু এই রাস্তাটা নিরাপদ মনে হচ্ছে না, তাই আমি বাড়িতে ফিরে যাচ্ছি।
রাত ১১টার পরে আমি একা বাইরে যাই না। আমার মা যদি আমাকে দোকানে গিয়ে মশা মারার কয়েল কিনে আনতে বলেন, তাহলে আমি রাত ১১টার আগেই যাই।
গবেষকদের অভিজ্ঞতা
মারিশার বন্ধুর বাড়িতে যাওয়ার রাস্তাটায় কোনও আলো নেই, তাই খুব অন্ধকার। আলো আসে শুধুমাত্র ছুটে যাওয়া মোটরসাইকেলগুলির হেডলাইট থেকে। একে আলো নেই, তার উপরে জায়গাটা নিরাপদ নয় বলে গুজব আছে, তাই মারিশার পছন্দ নয় এবং বিপজ্জনক মনে করে। আমার নিজেরই এখানে ভয় আর অস্বস্তি লাগছে।
শিশুর অভিজ্ঞতা
আমার এখন বিরক্তি লাগছে। আগে রোদের মধ্যে হাঁটার জন্য আমার মাথায় যেন হাতুড়ির বাড়ি পড়ছে। আমার খিদেও পাচ্ছে আর মাথাও ঘুরছে, আমার মাথা আর গলা ব্যথা করছে। আমি রাতের খাবার খাওয়ার আগে পর্যন্ত বিশ্রাম করব। আগামীকাল শুক্রবার হলেও আমাকে কাজে যেতে হবে। এর জন্য আমি বিরক্ত হয়ে আছি। কিন্তু আমাকে যেতেই হবে।